আব্দুল হালিম,বিশেষ প্রতিবেদকঃ
মিঠাপুকুরে হাবিবুর রহমানের রওজা শরিফে সেনা সদস্য ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বাংলাদেশ ওলি আউলিয়াদের দেশ, ৩৬০ আউলিয়ার দেশ। বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ ওলি-আউলিয়াদেরকে যথাযথ সম্মান ও শ্রদ্ধা করে এবং ভালোবাসে। মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়ন্থ জারুল্যাপুর বকুলতলা গ্রামের সাজ্জাদুর রহমান রাজা (প্রধান শিক্ষক) জানান, তার বাবা শাহ সুফি আবু নোমান মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান চেরাগে জান শরীফ ডাঃ কালান্দার জাহাঙ্গীর বা ঈমান আল সুরেশ্বরী সনদ প্রাপ্ত খলিফা ছিলেন। প্রতি বছরের ন্যায় আজ ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় ২ শ ভক্তরা এসেছেন। তারা বাবার স্মৃতিচারণ করে জিকির ও দোয়া মাহফিল করে চলেযাবেন। কিন্ত বকুলতলা জামে মসজিদ এর খতিব শফিকুল ইসলাম,জনি,মামুন,বাবু মেম্বরসহ কিছু উগ্রপন্থী বিপথগামী মানুষ গতকাল মঙ্গলবার ঘোষণা দিয়েছেন এবং তারা মাইকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে বলেছেন আজ বুধবার তারা এই হামলা করবে ও রওজা মোবারক ভেঙ্গে ফেলবেন। উক্ত রওজা মোবারক এর বিল্ডিং তৈরী করতে খরচ হয়েছে ১৮ লক্ষ টাকা তাঁ পুত্র রাজা মাষ্টার জানান। রাজা নিজে এ ব্যাপারে মিঠাপুকুর ইউএনও এবং অফিসার ইনচার্জ ও রংপুর পুলিশ সুপারকে অবহিত করেছেন। সম্প্রতি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব সকল মিডিয়াতে ঘোষণা দিয়েছেন যে, যারা মাজার হামলার সাথে জড়িত থাকবে এ বিষয়টি জিরো টলারেন্স হিসেবে গ্রহণ করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ জন্য যাতে কোন ধরনের দূর্ঘনা না ঘটে এ জন্য সেনা সদস্য, পুলিশ ও ডিএসবি সদস্যগণ রওজা মোবারকে মোতায়েন রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান। কোন প্রকার সহিংসতা না হয় এ জন্য ঢাকা সেনানিবাস এর মেজর ইউসুফ (অব:) মোবাইল নম্বর ০১৭১৩৩৮৮৯১৫ মিঠাপুকুর অফিসার ইনচার্জকে একটি চিটি দিয়েছেন বলে জানাগেছে।