1. news@dainikalokitonews.com : দৈনিক আলোকিত নিউজ : দৈনিক আলোকিত নিউজ
  2. info@www.dainikalokitonews.com : দৈনিক আলোকিত নিউজ :
মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মিঠাপুকুরে এস এস সি প্রবেশপত্র না পাওয়ায় দূ্র্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক এর বাড়ীতে ছাত্র ছাত্রীদের অবস্থান! প্রধান শিক্ষক পলাতক ইসরায়েলি গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানালো বাংলাদেশ জলঢাকায় ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি ও  বিক্ষোভ মিছিল কলমাকান্দায় পোগলা ইউনিয়নে বাদে পোগলা একতা স্পোর্টিং ক্লাব এর উদ্যোগে ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত ঈদের পর রংপুর বিভাগের মানুষ নিরাপদে ঢাকায় ফিরছেন নওগাঁয় রহস্যজনকভাবে দুই ভাই-বোনের মরদেহ উদ্ধার মার্কিন শুল্ক পুনর্বিবেচনা চেয়ে ট্রাম্পকে ড. ইউনূসের চিঠি নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ক্রিকেটে ফিরলেন নাসির হোসেন মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য মরহুম পরিবারের মাঝে আইনজীবী কল্যান তহবিলের চেক প্রদান বিদ্যালয় মাঠের সিমানা প্রাচীর ভাংচুরের অভিযোগ আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে

ঘুষের জন্য ১৫১ ফাইল ছাড়েননি মাউশির ডিডি, দুদকের অভিযান

  • প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫
  • ২৮ বার পড়া হয়েছে
আব্দুল হালিম,বিশেষ প্রতিবেদকঃ
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) রাজশাহী অঞ্চলের উপ-পরিচালক (ডিডি) ড. আলমগীর কবির ঘুষ ছাড়া কোনো ফাইল ছাড়েন না। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযোগ পেয়ে গত মঙ্গলবার দুপুরে মাউশির আঞ্চলিক কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় মেয়াদ অতিক্রমের পরও উপ-পরিচালকের টেবিলে ১৫১টি ফাইল আটকে রাখতে দেখেছেন তারা।অভিযোগ উঠেছে- এ ফাইলগুলো বিভিন্ন কলেজের শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির আবেদন, কলেজের এরিয়া বিল, ছুটি এবং বিদেশ ভ্রমণের এনওসির আবেদন। সবচেয়ে বেশি ফাইল কলেজের এরিয়া বিলের। রাজশাহী থেকে ঢাকায় মাউশিতে ফাইল পাঠানোর সময়সীমা শেষ হয়েছে কয়েক দিন আগে। কিন্তু ১৫১টি ফাইল পড়ে আছে ডিডি আলমগীর কবিরের টেবিলেই। উপ-পরিচালক দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।দুদকের রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ফজলুল বারী জানান, গত ১০ মার্চ দুদকের হটলাইনে অভিযোগ আসে যে, মাউশির রাজশাহী কার্যালয়ের কলেজ শাখার ডিডি আলমগীর কবির এ পদে যোগ দেওয়ার পর থেকেই নির্দিষ্ট পরিমাণ ঘুষ নিয়ে ফাইল অনুমোদন করেন। এমপিওভুক্তি এবং বদলির ক্ষেত্রে লক্ষ টাকা ঘুষ নেন। ঘুষ না দিলে ফাইল ওপরে ওঠে না। ছুটি কিংবা এনওসি নিতেও তিনি ঘুষ দাবি করেন। তার চাহিদামতো টাকা দিতে না পারলে তিনি ফাইল অনুমোদন করেন না।এদিকে মঙ্গলবার দুদকের সহকারী পরিচালক ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম মাউশির রাজশাহী কার্যালয়ে অভিযান করেন। এ সময় দুদক টিম দেখতে পান, আলমগীর কবিরের টেবিলে পড়ে আছে ১৫১টি ফাইল। এসব ফাইল প্রথমে পরিচালক মোহা. আছাদুজ্জামানের কাছে দাখিল হয়েছে। তারপর তিনি সহকারী পরিচালক আলমাস উদ্দিনের কাছে পাঠান। আলমাস উদ্দিন তা উপ-পরিচালক আলমগীর কবিরের কাছে মতামতের জন্য পাঠিয়েছেন; কিন্তু আলমগীর কবির পরে আর তা অগ্রগামী করেননি। তিনি ফাইল অগ্রগামী করলে পরিচালক তা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঢাকায় পাঠাতেন।অন্যদিকে দুদক দলের কাছে ডিডি আলমগীর কবির দাবি করেন, অসুস্থ অবস্থায় ছুটিতে থাকায় এবং ৩ দিন দিন সার্ভার ডাউন থাকায় তিনি ফাইল ছাড়তে পারেননি। দুদক দল এ সময় তার কাছে লিখিত বক্তব্য চেয়েছেন। আজ রোববার ডিডি দুদককে লিখিত দেবেন। এসব বিষয়ে কথা বলতে বিকালে কয়েক দফা তাকে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। মাউশির রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক মোহা. আছাদুজ্জামান বলেন, আমার কাছে ফাইল আসার পর আমি সর্বোচ্চ ১০ দিন রাখতে পারি। সহকারী পরিচালক ৭ দিন এবং উপ-পরিচালক ৫ দিন রাখতে পারেন; কিন্তু উপ-পরিচালক যথাসময়ে ফাইল ছাড়েন না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঢাকায় ফাইল পাঠাতে আমি তাকে ফোন করেছি, হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করেছি, এমনকি তার রুমে গিয়েও যেভাবে বলা দরকার বলেছি। তা-ও তিনি ছাড়েননি।পরিচালক বলেন, তার কাছে মোট ২৮২টি ফাইল ছিল। তার মধ্যে ১৭৪টি আটকে রেখেছিলেন। ঢাকায় পাঠানোর সময় শেষে তিনি ২৩টা ফাইল আমাকে দিয়েছেন। এসব ফাইল আর এখন নিয়ে আমার কোনো লাভ নেই, ঢাকায় পাঠানো যাবে না। আর ১৫১টি ফাইল তো তিনি ছাড়েনইনি।
পরিচালক আরও জানান, মাঝে-মধ্যেই আমার কানে কথা আসে যে, যেসব ফাইল ডিডির টেবিলে আছে, সেগুলো অগ্রগামী করার জন্য ‘থার্ড পার্টি’ কলেজের শিক্ষকদের ফোন করে টাকা চায়।
আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ,কলাম,তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট