আব্দুল হালিম, বিশেষ প্রতিবেদক:
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নানা মত-ধর্ম-রীতিনীতির মধ্যেও আমরা সবাই এক পরিবারের সদস্য।সকলকে এ উৎসব পালন করার আহবান জানান।মিঠাপুকুরে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিবসটি পালিত হয়। জাতীয় সঙ্গীত, শোভা যাত্রা শিশুদের অনুষ্টান। শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহন করেন, মিঠাপুকুর ইউএনও বিকাশ চন্দ্র বর্মণ,বাংলাদেশ জামায়াতী ইসলামী, রংপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মমিন মন্ডল, পিআইও মনিরুজ্জানান, অফিসার ইনচার্জ আবু বক্কর সিদ্দীক সহ সকল কর্মকর্তা বৃন্দ, মিঠাপুকুর প্রেস ক্লাব সকল সদস্য বৃন্দৃৃঐৃৃৃৃৃৃ শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। শেষে মিঠাপুকুর বাজার বনিক সমিতি আয়োজিত পান্তা ইলিশ খাওনো হয়। বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে পান্তা ভাত। কিন্তু অনেকে মোটা হওয়ার ভয়ে এটি খেতে চান না। ভাবেন পান্তা ভাত খেলে মোটা হয়ে যাবে। গরমকালে পান্তা ভাত খাওয়ার অভ্যাস পুরনো। রাতের খাবার খাওয়ার পর অবশিষ্ট ভাতে পানি দিয়ে পরের দিন সকালে খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। কেবল বাংলাদেশ নয়, ভিয়েতনাম, উড়িষ্যা, তামিলনাড়ু, চীনসহ অনেক দেশেই খুব জনপ্রিয় খাবার পান্তা ভাত। পুষ্টিবিদদের মতে, পান্তা নিয়মিত খেলে ওজন বাড়ে না বরং কমে। এছাড়া নিয়মিত পান্তা খাওয়ার আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। সাধারণ ভাতের তুলনায় পান্তা ভাতে আয়রনের পরিমাণ বাড়ে ২১ গুণ যা আয়রন ডিফিশিয়েন্সি কিংবা এনিমিয়া বা রক্তশূন্যতা কমায়। ১০০ গ্রাম পান্তা ভাতে প্রায় তিন ট্রিলিয়ন ভালো ব্যাকটেরিয়া থাকে যাদের প্রোবায়োটিকস বলে। এদের কাজ হলো শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে উন্নত করা। পান্তা ভাতে পটাসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়ামের পরিমাণ এমনভাবে বাড়ে যা একজন স্বাভাবিক মানুষের দৈনিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য পর্যাপ্ত। গরম ভাতে যে পরিমাণ ফ্যাট থাকে পান্তাভাতে তা প্রায় ৬ গুণ কমে যায়। তাই এটি ওজন বাড়ায় না বরং কমায়। প্রফেসর ড. মমতাজ হোসেন সহ ৫ জন পিএইচডি ডিগ্রীধারী ব্যক্তিগণ বলেছেন,পান্তা ভাতকে বলা হয় ন্যাচারাল কুলার। এটি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। পান্তা নিয়মিত খেলে আলসার সেরে যায়। এটি ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সকালে খাওয়া পান্তা সারাদিনের কর্মক্ষমতা ও এনার্জির যোগান দেয়। ব্যস্তময় জীবনে অনেকেই এখন নিদ্রাহীনতায় ভোগেন। নিয়মিত পান্তা খেলে নিদ্রাহীনতা দূর হয়। তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।