শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতাঃ
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের আনিপুর গ্রামে কৃষি জমিতে সেচ দেওয়া নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুর ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় বাড়িঘর ভাঙচুর, গাছ কাটা , লুটপাট ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। সংঘর্ষে অন্তত ৭ জন গুরুতর আহত হয়ে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,আনিপুর গ্রামে তামুক খেতে সেচ দেওয়া নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার দুপুরে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছে। এ সময় আসাদ গ্রুপের নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র লোক সংঘবদ্ধভাবে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালায়।
হামলাকারীদের নামের তালিকা অনুযায়ী:
তালের মন্ডল (৬৫), সাইদ (৪০), সাইন (৩৫), সাজেদুল (৩২), কুদ্দুস মন্ডল, মাজেদুল (৪০), আলম (৬৫), আলমগীর (৩৫), জাহাঙ্গীর (৪০), আজিজ (২৮), নাজিম উদ্দিন (৭০), ঝন্টু (৪০), আমিরুল (৩৫), ইকবাল (৩৫), রানা (৩০), রনি (৩০), রবি (৩২), মমিন (২৫), তাসলিম (৩৮), মুস্তাফা (৩৫) সহ শতাধিক ব্যক্তি বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট, গবাদি পশু লুট এবং ফলের গাছ কাটাকাটি করে।
এ হামলায় আহত হন —
দবির (৫৫), লালটু (৪০), মানিক (৩৫), রাফিজ (৩৫), রফিক (৩০), বাপ্পী (২৮) ও হুসাইন (১৬)। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ
এ ঘটনার পর স্থানীয়রা জানান, হামলার সময় থানা পুলিশকে একাধিকবার ফোন করা হলেও দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরই মধ্যে হামলাকারীরা এলাকা ছেড়ে চলে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গ্রাম্য কিছু প্রভাবশালী মাতব্বর পুলিশকে জানান, “গ্রামে কিছুই ঘটেনি”। এতে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, হামলার নেপথ্যে থাকা ব্যক্তিরা প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনাকে আড়াল করার চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে তদন্ত চলছে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয়রা দাবি করেছেন, হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক এবং আহতদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করা হোক।